কসোভো কাজের ভিসা ২০২৪ | Kosova work permit

বাংলাদেশ থেকে যারা কসোভো কাজের ভিসা বা কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কসোভো যেতে চাচ্ছেন তারা কসোভো ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন।

দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের বলকানে কসোভো অবস্থিত। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। বর্তমানে কসোভো একটি উন্নয়নশীল দেশ। 

যদিও কসোভো ইউরোপের একটি দেশ কিন্তু কসোভো এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে কসোভো থেকে সেনজেন ভুক্ত দেশ গুলোতে যাওয়া বেশ কঠিন।

আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্য কসোভো যেতে চাচ্ছেন তারা খুব সহজে কসোভো যেতে পারবেন এবং কসোভো কাজের ভিসা পেয়ে যাবেন।

চলুন নিচে থেকে জেনে আসি কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ভিসার দাম, ভিসা প্রসেসিং সময়, আবেদন করার নিয়ম এবং যেতে কত দিন সময় লাগবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

কসোভো কাজের ভিসার দাম

বাংলাদেশ থেকে যারা কসোভো কাজের ভিসা আবেদন করবেন তাদের ৬০ ইউরো বাংলাদেশী টাকায় ৭ হাজার টাকা খরচ হবে। বর্তমানে কাজের ভিসার দাম আরো কিছুটা বাড়তে পারে।

কসোভো কাজের ভিসা পাওয়া পরে আপনাকে আরো খরচ রয়েছে। যেমন – কসোভো যাওয়ার বিমান খরচ, কসোভোতে গিয়ে কাজ পাওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়া এবং থাকা খরচ সহ অন্যান্য খরচ ইত্যাদি। 

সব খরচ মিলে বাংলাদেশ থেকে কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কসোভো যেতে আপনার প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো লাগবে।

কসোভো ভিসা ফি ২০২৪

  • সাধারণ কাজের ভিসা ৬০ ইউরো বাংলাদেশী টাকায় ৭ হাজার টাকা।
  • স্টুডেন্ট ভিসা ফ্রি।
  • ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভিসা ফ্রি।

কসোভো কাজের ভিসা ২০২৪ | Kosova work permit

বাংলাদেশ থেকে যারা কসোভো কাজের উদ্দেশ্য যেতে চাচ্ছেন তারা খুব সহজে কসোভো ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ কসোভো এম্বাসি চালু হয়েছে।

সেখান থেকে আবেদন করার পরে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। আপনি যদি সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে কসোভো যেতে চান তাহলে ভিসা পেতে কিছু দেরি হয়।

আর যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে কসোভো যেতে চান তাহলে খুব দ্রুত সময়ে কসোভো কাজের ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে এজেন্সির মাধ্যমে আপনার খরচ একটু বেশি হবে।

কিভাবে কসোভো ভিসার আবেদন করবেন

কসোভো ভিসার জন্য আপনি নিজে নিজেও অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে বেশি ভাগ মানুষ আবেদন করেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে কসোভো অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ গিয়ে আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন এপ্রুভ হলে আপনাকে কল করা হবে।

কসোভো ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে

বর্তমানে খুব কম সময়ে কসোভো ভিসার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনার ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি সময় লাগে।

আপনার ডকুমেন্টস যদি ঠিক থাকে তাহলে খুব দ্রুত সময়ে আপনি কসোভো ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।

কসোভো যেতে কত টাকা এবং কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে কসোভো যেতে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে। এক্ষেত্রে কাজের ভিসা আবেদন খরচ ৬০ ইউরো। আর কসোভো যেতে কত সময় লাগে সেটা সম্পন্ন নির্ভর করবে আপনার এজেন্সির উপর। 

কসোভো এম্বাসি থেকে আপনাকে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে ভিসা দিয়ে দিবে। এবার আপনার এজেন্সি কত দিন সময় লাগবে সেটা তাদের উপর নির্ভর করবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে কসোভো যেতে পারবেন।

শেষ কথা

আজকে আমরা জানলাম কসোভো কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এই সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন জানার থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে অবশ্যই লিখে জানাবেন এবং ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

FAQ

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট চেক করার নিয়ম?

বর্তমানে কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করার কোনো উপায় নেই। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই বের হবে। যদি কোনো উপায় ভবিষ্যতে বের হয় তাহলে অবশ্যই আমি আপডেট করে জানিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট দেখতে কেমন?

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট দেখতে কেমন এটা জানার জন্য নিচে kosova work permit এর ছবি আপলোড করা হয়েছে।

কসোভো সম্পর্কে আরো তথ্য পড়ুন

Similar Posts

18 Comments

      1. ভাই কী ভাবে পারমিটটা পেতে পারি সহোযোগিতায় কামনা করছি

          1. ভাই কসভো কিভাবে আবেদন করব কোন লিংকে যে আবেদন করলে সঠিক হবে নিজে নিজে করতে চাই

      1. ভাই কসোভো ওয়ার্ক পারমিটের লিংকটা দেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *