জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করার নিয়ম ২০২৪

আপনাদের মধ্যে অনেকে জানতে চেয়েছেন জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করার নিয়ম এবং ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সম্পর্কে। 

আপনাদের মধ্যে যারা প্রথমে জন্ম নিবন্ধন করেছেন তারা তাদের জন্ম নিবন্ধন হাতে লেখা ১৬ ডিজিটের ছিলো।

বর্তমানে অনলাইনে এই ১৬ ডিজিটের হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন গুলো সার্চ করলে খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনাদের মধ্যে যাদের এই সমস্যা হচ্ছে তারা তাদের আজকে ১৭ ডিজিটের শুদ্ধ জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বের করার নিয়ম বলবো।

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে কি সমস্যা হচ্ছে? 

আপনারা হয়তো সবাই জানেন প্রথমে যখন জন্ম নিবন্ধন শুরু হয় তখন পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয় জন্ম নিবন্ধন ব্যাক্তির তথ্য গুলোর তালিকা সংরক্ষণ করা হত।

সেই সময় একটি প্রিন্টেড ফর্মে হাতে লিখে আমাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ (Birth Certificate) প্রদান করা হত। হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফর্মে ১৬ ডিজিট নাম্বার থাকত।

বর্তমানে অনলাইনে সরকারি সকল সেবা প্রদান করার জন্য অনলাইন ভিত্তিক সিস্টেম করা হয়। তাছাড়া দেশের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিট থেকে বাড়িয়ে ১৭ ডিজিট করা হয়।

বর্তমান সময়ে আপনারা যারা নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করবেন তাদের সবার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকার পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণ করা জন্ম নিবন্ধনের সকল তথ্য অনলাইন ডাটাবেইজ আপলোড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

কিন্তু, অনলাইনে নতুন কোন তথ্য আপলোড করার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা নেই। তাই লোকবল দিয়ে এই তথ্য গুলো অনলাইনে আপলোড করা হয়।

অনলাইনে আপলোড করার সময় অনেক তথ্য ভুল হয় বা ভুলে বাদ পড়ে যায়। আপনাদের মধ্যে যাদের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে গেলে No Record Found দেখায় তাদের জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনলাইনে আপলোড করা হয়নি।

জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করার নিয়ম ২০২৪

আপনাদের যারা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৬ ডিজিট  থেকে ১৭ ডিজিট করতে চান তারা প্রথম ১১ ডিজিটের পরে শুন্য (০) যোগ করুন।

আথবা ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বারের শেষের ৫ ডিজিট পূর্বে একটি শুন্য (০) যোগ করুন। তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট হয়ে যাবে।

সাধারণত প্রত্যেকটি জন্ম নিবন্ধন সনদে ১৭ ডিজিটের মধ্যে প্রথম ৪ ডিজিট থাকে উক্ত ব্যাক্তির জন্ম সাল এবং শেষের ৬ ডিজিট থেকে উক্ত ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত পরিচিতি নাম্বার।

অর্থ্যাৎ, পূর্বে যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদে ব্যাক্তিগত নম্বর ৫ ডিজিট ছিলো তারা সেটাকে ৬ ডিজিট করার জন্য শুরুতে একটি শুন্য (০) যোগ করে নিবেন।

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই

উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন জন্ম নিবন্ধন নম্বরের শেষের ৫ ডিজিটের পূর্বে শুন্য (০) যোগ করা হয়েছে। যেমন – ০১৮৪১৫

১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম

২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রথম জন্ম নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভার এবং সিটি করপোরেশন থেকে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতে লেখা একটি জন্ম নিবন্ধন কার্ড তৈরি করে দেয়।

হাতে লেখা পুরাতন সেই জন্ম নিবন্ধন ছিলো ১৬ ডিজিট। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন গুলো ডিজিটাল করে ১৬ থেকে ১৭ ডিজিট করা হয়েছে। আপনি চাইলে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন।

১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যাচাই করার জন্য ভিজিট করুন everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইট। এরপর আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখে সংখ্যা ক্যাপচা পূরণ করে সার্চ করলে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।

শেষ কথা

আজকে আমরা জানলাম জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করার নিয়ম বা ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই সম্পর্কে। 

এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাদের যাদের বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তারা কমেন্টে লিখে জানাবেন। আমি কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফিরতি উত্তর দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।

FAQ জন্ম নিবন্ধন

আমার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না?

দুইটা কারণে আমাদের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে পাওয়া যায় না। প্রথম কারণ, আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য ভুল করে অনলাইনে আপডেট করা হয়নি। দ্বিতীয় কারণ, আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ভুল।

১৬ ডিজিট জন্ম নিবন্ধন নম্বর কিভাবে ১৭ ডবজিট করব?

পুরনো হাতে লেখা ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ ডিজিট করার জন্য প্রথম ১১ ডিজিটের পরে শুন্য (০) যোগ করুন অথবা? শেষের ৫ ডিজিটের পূর্বে শুন্য (০) যোগ করুন।

জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে আরো তথ্য পড়ুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *