পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে বা পাসপোর্ট সংশোধন ফি কত টাকা এবং পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জানুন।

পাসপোর্ট করার পরে অনেক সময় আমাদের অজান্তেই পাসপোর্টের মধ্য কোনো না কোনো ভুল হয়ে থাকে। তখন আমাদের পাসপোর্ট আবার ভুল সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে।

আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন পাসপোর্ট সংশোধন করতে অনেক ঝামেলা এবং অতিরিক্ত টাকা লাগে। এ কারণে অনেক পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাই না।

আসলে পাসপোর্ট সংশোধন করতে কোনো ঝামেলা নেই এবং অতিরিক্ত কোনো টাকা লাগবে না। পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য  আপনাকে পাসপোর্টটির রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে।

তবে মনে রাখবেন পুরাতন পাসপোর্টে বিদ্যমান নাম, পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও বহিরাগমন এই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

কেউ যদি পাসপোর্টের পেশা পরিবর্তন করতে চাই, তাহলে কর্মক্ষেত্রের প্রত্যয়নপত্র এবং প্রতিষ্ঠানিক পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রতিবেদন লাগবে। তবে, বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে এমন কোনো নিয়ম নেই।

বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন করতে হলে আবেদনের সাথে নিকাহানামা জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে | পাসপোর্ট সংশোধন ফি ২০২৪

পাসপোর্ট সংশোধন করতে নতুন পাসপোর্ট ফি ভ্যাট সহ সর্বনিন্ম ৪,০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩,৮০০ টাকা লাগে।

মনে রাখবেন পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আলাদা ভাবে কোনো ফি বা টাকা লাগে না। আপনি শুধুমাত্র পাসপোর্ট ফি প্রদান করবেন।

ই পাসপোর্ট সংশোধন ফি ২০২৪

ই পাসে সংশোধন ফি বা পাসপোর্ট সংশোধন করার খরচের পরিমান নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।

১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট সংশোধন ফি

  • নিয়মিতঃ ৮,০৫০ টাকা
  • জরুরিঃ ১০,৩৫০ টাকা
  • অতি জরুরিঃ ১৩,৮০০ টাকা

১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট সংশোধন ফি

  • নিয়মিতঃ ৫,৭৫০ টাকা
  • জরুরিঃ ৮,০৫০ টাকা
  • অতি জরুরিঃ ১০,৩৫০ টাকা

৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট সংশোধন ফি

  • নিয়মিতঃ ৬,৩২৫ টাকা
  • জরুরিঃ ৮,৬২৫ টাকা
  • অতি জরুরিঃ ১২,০৭৫ টাকা

৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট সংশোধন ফি

  • নিয়মিতঃ ৪,০২৫ টাকা
  • জরুরিঃ ৬,৩২৫ টাকা
  • অতি জরুরিঃ ৮,৬২৫ টাকা

পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গড়মিল থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী পিতা-মাতার নাম ও বয়স সংশোধন করার জন্য পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে। 

অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ বিবেচনা করা হবে এবং প্রয়োজনে জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি/দাখিল/কারিগরি/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের সনদপত্র বিবেচনা করা হবে।

পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে এবং পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা পূরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে।

পূর্বে সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ২৮/০৪/২০২১, ০৯/১২/২০২২ এবং ০৩/১১/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে জারীকৃত পরিপত্রসমূহ বাতিল করা হয়েছে।

পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে

আপনারা যারা পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাচ্ছেন তাদের প্রধানত প্রয়োজন হবে,

  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
  • যাদের সনদপত্র নেই তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ। 
  • পুরাতন পাসপোর্টের কপি ও ফটোকপি। 
  • বিদেশি দূতাবাসে আবেদন করা হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড/জব আইডি কার্ড/ড্রাইভিং আইডি কার্ড।

পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে স্পেশাল ব্রাঞ্চ বা অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা হতে পারে।

শেষ কথা

আজকে আমরা জানলাম পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে বা পাসপোর্ট সংশোধন ফি কত টাকা সেই সম্পর্কে। পাসপোর্ট সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে নিচের লেখা গুলো পড়ুন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *