পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

আজকের আর্টিকেলে বলবো হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম বা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে না পেলে করণীয়গুলো সম্পর্কে।

আপনাদের মধ্যে যাদের হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে অনেক সময় তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদটি অনলাইনে পাওয়া যায় না।

যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না তারা হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

বর্তমানে হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনি কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এজন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই অনলাইন করতে হবে।

অর্থ্যাৎ, আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল / অনলাইন করতে হবে। যাতে অনলাইনে সার্চ করলে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়। 

২০০১ সালের পরে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন থাকতে হবে কিন্তু বর্তমানে এই নিয়ম বাতিল করা হয়েছে।

অর্থ্যাৎ, বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন না করলে ও হবে। এক্ষেত্রে আবেদন করার সময় পিতা-মাতার নাম লিখলে হবে।

জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে না থাকলে কি করবেন?

আপনাদের মধ্যে যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদেরকে আবার নতুন করে জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

আমার জন্ম নিবন্ধন কেন অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?

পূর্বের জন্ম নিবন্ধন গুলো হতে লিখে পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে তথ্য গুলো সংরক্ষণ করে রাখা হতো। এরপর বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তথ্য গুলো অনলাইন করার জন্য।

তখন হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ গুলোর তথ্য ম্যানুয়েলি ভাবে অনলাইনে আপলোড করা হয়।

এ সময় ভুলবশত অনেকের তথ্য বাদ পড়ে যায়। হয়তো এমন ভাবে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনলাইন থেকে বাদ পড়েছে। আর একটি সমস্যা হতে পারে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ভুল। 

এজন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

আপনার হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য যদি অনলাইনে না পান তাহলে প্রথমে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি ১৭ ডিজিট আছে কিনা।

জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ ডিজিটের মধ্যে প্রথম ৪ ডিজিট থাকবে আপনার জন্ম সাল। ১৭ ডিজিট জন্ম নিবন্ধন নম্বর থাকা সত্ত্বেও যদি অনলাইনে না পাওয়া যায় তাহলে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নতুন করে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করুন।

তাছাড়া, যাদের হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিটের তারা ১৭ ডিজিট করার জন্য শেষে ৫ ডিজিটের আগে শূন্য (০) ব্যবহার করুন। জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করার নিয়ম

১৭ ডিজিট করার পরে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে দেখুন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে কিনা। যদি পাওয়া যায় তাহলে নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করা লাগবে না। শুধুমাত্র ইংরেজি নাম ও ঠিকানা যুক্ত করার জন্য আবেদন করুন।

আর আপনার সনদের তথ্য গুলো যদি বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায় থাকে তাহলে আর কিছু করতে হবে না।

আর যাদের জন্ম নিবন্ধনে তথ্য ভুল রয়েছে তারা তারা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করব?

আমি আগেই বলেছি জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করা এবং অনলাইন করা একই কথা। জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল করার জন্য আপনার বাংলা তথ্য গুলো ইংরেজি করতে হবে এবং ভুল থাকলে সংশোধন আবেদন করতে হবে।

কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায়?

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার আগে চেক করে নিবেন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে ইংরেজি তথ্য দিয়ে আবেদন করবেন এবং ভুল থাকলে সংশোধন আবেদন করতে হবে।

যদি কোনো ধরনের তথ্য যদি অনলাইনে না থাকে তাহলে আবার নতুন করে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে

আপনার হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন কপি, আইডি কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, বাসার হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করার রশিদ, সচল মোবাইল নম্বর, পিতা মাতার অনলাইন করা জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগে।

জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার আবেদন

জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল বা অনলাইন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন অফিসে গিয়ে খুব সহজে আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে পারবেন।

শেষ কথা 

আজকে আমরা জানলাম হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে। এই সম্পর্কে যদি কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে কমেন্টে লিখে জানাবেন। আমি কয়েক ঘন্টার মধ্যে উত্তর দিবো ইনশাআল্লাহ।

FAQ (প্রশ্ন উত্তর)

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কত টাকা লাগে?

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করলে বিনা মূল্যে করতে পারবেন। ৪৬ দিন পর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা এবং ৫ বছর পরে করলে ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। বিদেশ থেকে জন্ম নিবন্ধন করলে ১ ডলার ফি প্রদান করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে আরো তথ্য পড়ুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *