|

বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি ই-ভিসা চালু ২০২৪

বাংলাদেশী নাগরিকদের আরো সহজে সৌদি আরব যেতে ১ মে থেকে সৌদি ই-ভিসা বা ইলেক্ট্রনিক ভিসা চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি ই-ভিসা চালুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে দিয়ে এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করা হলো।

১ মে সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান তার নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি ই-ভিসা চালুর কথা জানান।

বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি ই-ভিসা চালু ২০২৪

সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন গত এক বছর ধরে যে সকল বাংলাদেশীরা পবিত্র হজ্জ পালস করছেন তাদের জন্য সৌদি ই-ভিসা চালু ছিলো।

এখন থেকে বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের সৌদি কাজ, ভ্রমণ সহ অন্যান্য কাজে সৌদি আরব যেতে কাগজের ভিসার পরিবর্তে পুরোপুরি ই-ভিসা চালু হলো। এখন থেকে যান্ত্রিকভাবে ভিসাপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

সৌদি রাষ্ট্রদূত আশা করেন এর মধ্যে দিয়ে সৌদি ভিসা প্রক্রিয়া আরো সহজতর হবে। তিনি আরো বলেন ভিসা ষ্টিকার খরচ সাপেক্ষ এবং এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সৌদি ই-ভিসা চালু হওয়াতে এখন থেকে এফোর (A4) সাইজের কাগজে ভিসা প্রিন্ট করে দেওয়া হবে। কাগজের নিচের অংশে একটি বারকোড থাকবে।

উক্ত বারকোডে যিনি ভিসা পেয়েছেন তার সকল তথ্য সন্নিবেশিত করা থাকবে। এতে সকল সবাই উপকৃত হবেন বলে মনে করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন আগে সৌদি ভিসা ষ্টিকারে গুলোতে শুধুমাত্র আরবি লেখা থাকতো। কিন্তু সৌদি ই-ভিসা চালু হওয়ার পর থেকে আরবি ও ইংরেজি দুই ভাষায় লেখা থাকবে।

যার ফলে বাংলাদেশী ভিসা আবেদনকারীরা খুব সহজে বুঝতে পারবে ভিসা কত দিনের এবং তিনি কোন শ্রোণীতে ভিসা পেয়েছেন। সৌদি যাওয়ার আগে শ্রমিকরা ভিসার মাধ্যমে জানতে পারবেন কত দিনের ভিসা এবং কত টাকা বেতন পাবেন।

সৌদি রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, দালাল চক্র অনেক সময় শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে এবং তাদের বলে সৌদি দূতাবাস টাকা নেয়। আমি বলেতে চাই এই বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা।

তাছাড়া সৌদি আরব এই মুহূর্তে কোনো ফ্রি ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের নিদিষ্ট কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে এবং শ্রমিক ভিসার মেয়াদ ২ বছর।

সাংবাদিকদের বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে সৌদি যান তাদের মধ্যে অধিকাংশ আরবি পড়তে পারেন না।

তারা এজেন্সি থেকে ভিসা সংগ্রহ করে কিন্তু আসলে তারা জানেন না কোন প্রকার ভিসা নিয়ে তারা সৌদি যাচ্ছেন। এজন্য ভিসায় আরবি ও ইংরেজি ভাষা থাকলে সুবিধা হবে।

সৌদি ভিসা সম্পর্কিত আরো তথ্য পড়ুন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *