বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ২০২৪
আপনারা যারা সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার আবেদন করতে চান তারা আজই BMET Registration করুন। জানুন বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে।
BMET এর পূর্ণরূপ হলো Bureau of Manpower Employment and Training. বিএমইটি হলো বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ মানুষের কাছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করার উদ্দেশ্য বিএমইটি প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে।এখানে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশ যাওয়ায় ব্যবস্থাও করা হয়।
আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার জন্য এই সুবিধা গুলো গ্রহণ করতে চান তাহলে আজই বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করে বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করুন।
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার অনুমতিস্বরুপ বিএমইটি কার্ডটি অনেকের কাছে ম্যান পাওয়ার কার্ড নামে পরিচিত। দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে বিএমইটি নেটওয়ার্ক।
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ২০২৪ (BMET Registration)
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে আপনাকে আমি প্রবাসী অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। আমি প্রবাসী রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার নিয়ম জানুন।
BMET রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আমি প্রবাসী অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন করে প্রবেশ করার পরে ভ্যাক্সিন রেজিষ্ট্রেশন, পাসপোর্ট অফিস, রিক্রুটিং এজেন্সি অফিস, জনশক্তি অফিস, মেডিকেল সেন্টার, ট্রেনিং সেন্টার, দূতাবাস সহ আরো বিভিন্ন ধরনের অপশন দেখতে পাবেন।
অর্থাৎ আপনার যখন যে সেবা প্রয়োজন তখন সেই সেবা এখান থেকে গ্রহণ করতে পারবেন খুব সহজে। আপনি যেহেতু BMET Registration করবেন তাই নিচে থেকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন অনলাইন করার ধাপ গুলো নিচে থেকে অনুসারণ করুন।
ধাপ ১: দেশ সিলেক্ট করুন
আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করার পরে “বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন” অপশনে ক্লিক করুন। আপনি কোন দেশে যেতে চান উক্ত দেশ সিলেক্ট করে “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ২: পাসপোর্ট এর তথ্য প্রদান করুন
আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আপনার “পাসপোর্ট স্ক্যান করুন” অপশনে ক্লিক করুন। আপনি পাসপোর্ট এর ছবি গ্যালারি থেকে অথবা ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলে আপলোড করতে পারবেন।
পাসপোর্ট এর ছবি আপলোড করার মাধ্যমে অটোমেটিক ভাবে পাসপোর্ট নম্বর বসে যাবে এবং বাকি তথ্য গুলো আপনার পাসপোর্ট অনুসারে বসাতে হবে। যেমন,
- আপনার নাম লিখুন
- পাসপোর্ট নম্বর (অটোমেটিক বসে যাবে)
- পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ সিলেক্ট করুন
- পাসপোর্ট মেয়াদউত্তীর্ণর তারিখ সিলেক্ট করুন
- জাতীয় পরিচয়পত্র (ঐচ্ছিক)
- জন্ম তারিখ সিলেক্ট করুন
- আপনি পুরুষ নাকি মহিলা সিলেক্ট করুন
পাসপোর্ট অনুযায়ী সকল তথ্য গুলো সঠিক ভাবে সিলেক্ট করে “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন
এখানে আবেদনকারীর পাসপোর্ট অনুসারে ব্যক্তিগত তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। যেমন,
- পিতার নাম লিখুন
- মাতার নাম লিখুন
- বৈবাহিক অবস্থা সিলেক্ট করুন (বিবাহিত হলে স্ত্রীর নাম লিখতে হবে)
- ধর্ম সিলেক্ট করুন
- উচ্চতা সিলেক্ট করুন
- ওজন কত কেজি সিলেক্ট করুন
সকল তথ্য গুলো সঠিক ভাবে সিলেক্ট করে “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: যোগাযোগের তথ্য প্রদান করুন
এবার আপনাকে পাসপোর্ট অনুসারে যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে। যাতে আপনার সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায়। যেমন,
- মোবাইল নম্বর (নিজের সচল নম্বর লিখুন)
- ইমেইল এড্রেস লিখুন
- স্থায়ী ঠিকানা লিখুন
এরপর “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: নমিনীর তথ্য প্রদান করুন
এবার আপনাকে নমিনীর তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন,
- নামিনীর সাথে আপনার সম্পর্ক কি সিলেক্ট করুন
- নমিনীর নাম লিখুন
- নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্র (ঐচ্ছিক) লিখুন
- নমিনীর মোবাইল নম্বর লিখুন
- নমিনীর পিতার নাম লিখুন
- নমিনীর মাতার নাম লিখুন
সঠিক ভাবে তথ্য গুলো প্রদান করার পরে ‘পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬: জরুরী যোগাযোগের তথ্য প্রদান করুন
জরুরী ভিত্তিতে যাতে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে এজন্য তথ্য প্রদান করুন।
- সম্পর্ক সিলেক্ট করুন
- নাম লিখুন
- মোবাইল নম্বর লিখুন
এরপর “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৭: শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ প্রদান করুন
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট অনুসারে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ প্রদান করতে হবে। যেমন,
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সিলেক্ট করুন
- পাশের সাল সিলেক্ট করুন
- প্রতিষ্ঠান / স্কুল সিলেক্ট করুন
- বোর্ড সিলেক্ট করুন
- বিষয় সিলেক্ট করুন
- গ্রেড/ডিভিশন সিলেক্ট করুন
শিক্ষাগত যোগ্যতা সঠিক ভাবে সিলেক্ট করে “জমা দিন” অপশনে ক্লিক করুন। আপনি যদি একই ভাবে আরো শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য প্রদান করতে চান তাহলে “+আরো যোন করুন” অপশনে ক্লিক করে তথ্য প্রদান করতে পারবেন। এরপর “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৮: ভাষাগত দক্ষতা প্রদান করুন
এবার আপনার ভাষাগত দক্ষতা সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন কোন ভাষায় পারদর্শী সেটা সিলেক্ট করুন।
- ভাষাগত যোগ্যতা
- মৌখিক দক্ষতা
- লিখিত দক্ষতা
এছাড়া আপনার যদি আরো ভাষায় দক্ষতা থাকে তাহলে “+আরো যোগ করুন” অপশনে ক্লিক করে ভাষা সিলেক্ট করার পারে “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৯: তথ্য যাচাই করুন
আপনার প্রদান করা তথ্য গুলো বিএমইটি ডাটাবেইজ সংরক্ষণ করেছে। পেমেন্ট করার আগে প্রদান করা সকল তথ্য গুলো পুনরায় যাচাই করে দেখুন।
যাচাই করে দেখার জন্য “রিভিউ” অপশনে ক্লিক করুন। আর সকল তথ্য সঠিক থাকলে “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ১০: পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করুন
উপরে প্রদান করা আপনার পাসপোর্ট এর তথ্য ভেরিফাই করার জন্য পাঠানো হয়েছে। সাধারণত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হতে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগে। আপনি “ঠিক আছে” অপশনে ক্লিক করুন।
আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ষ্ট্যাটাস পেন্ডিং আছে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে পেমেন্ট করতে হবে।
ধাপ ১১: বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন পেমেন্ট ফি করুন
৭২ ঘন্টা পর পুনরায় আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করুন। বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন আবেদন অপশনে ক্লিক করুন। এখানে যদি আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ষ্ট্যাটাস “ভেরিফাইড” দেখায় তাহলে “পেমেন্ট করুন” অপশনে ক্লিক করুন।
পেমেন্ট ফি মাত্র ৩০০ টাকা। অনলাইনে দুইটি মাধ্যম বিকাশ এবং নগদ ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন। আপনি যেকোনো একটি পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
বিকাশ থেকে পেমেন্ট করার পদ্ধতি নিচে দেখানো হলো:
- “বিকাশ” অপশনে ক্লিক করলে “Bkash Payment” অপশন চলে আসবে।
- অটোমেটিক ভাবে টাকার পরিমান ৩০০ লেখা থাকবে। আপনি যে বিকাশ নম্বর থেকে পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন উক্ত নম্বর লিখে “CONFIRM” অপশনে ক্লিক করুন।
- তারপর উক্ত বিকাশ নম্বরে একটি কোড নম্বর আসবে, উক্ত কোড নম্বর বক্সে লিখে “CONFIRM” করুন।
- এবার বিকাশের পিন নম্বর লিখে “CONFIRM” অপশনে ক্লিক করলে পেমেন্ট সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
অভিনন্দন! আপনি সফল ভাবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছেন। এবার আমি প্রবাসী অ্যাপে প্রবেশ করলে উপরের দিকে “বিএমইটি কার্ড” নামক অপশন চলে আসবে। এখান থেকে বিএমইটি কার্ড চেক করে দেখতে পাবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন ফি কত টাকা
বিএমইটি নিবন্ধন করার ফি ৩০০ টাকা। বিএমইটি এর জন্য সরকারি ভাবে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ১০০ টাকা আমি প্রবাসী অ্যাপের সার্ভিস চার্জ।
বিএমইটি কার্ড চেক করুন
আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার পরে বিএমইটি কার্ড চেক করার জন্য নিয়ম জানুন। এরপর আপনি চাইলে খুব সহজে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
শেষ কথা
আজকে আমরা জানলাম বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন (BMET Registration) করার নিয়ম সম্পর্কে। এই বিষয় কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন।
বিএমইটি FAQ
বিএমইটি এর পূর্ণরূপ কি?
বিএমইটি এর পূর্ণরূপ হলো জনশক্তি ব্যুরো কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ।
বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার কোথায়?
বাংলাদেশ বিভিন্ন জেলার ১১০টি বিএমইটি অফিস বা ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। আপনার জেলায় বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে কিনা জানতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগে?
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে আপনার বৈধ পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর এবং নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে।
বিএমইটি কার্ড কি?
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো প্রতিষ্ঠান বিদেশে দক্ষ কর্মী রপ্তানিতে কারিগরি বিষয়ের উপর ট্রেনিং দিয়ে এই কার্ডটি প্রদান করে থাকে।
মালেশিয়ার জন্য বিএমইটি কার্ডকরতে কত বয়স লাগে?
১৮ বয়স লাগে
আসসালামু আলাইকুম, আমার প্রশ্ন হলো আমার ভিসা লাগছে পুরাতন পাসপোর্টে যার মেয়াদ এখনও ৮ মাস আছে। কিন্তু আমি এই পাসপোর্ট দিয়ে BMET রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছি না। আমাকে নতুন পাসপোর্ট দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে বলছে সেক্ষেত্রে কি ইমিগ্রেশন কোন প্রকার ঝামেলা হবে।
na
১৮ বছরের কম হলে কি বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন হয়?
না
আমি 2013সালে BMET card বানিয়ে মালদ্বীপে আসছী এক বছর পর আমার কাড মানি বেগ সহকারে চোরে নিয়ে গেছে
এখন আমার নুতন কাড বানানো লাগবে?
আর নতুন বানানোর জন্য তো আমাদের মালদ্বীপে হাইকমিশনার ৪৫ ডলার করে নেয়
এখানে তো দেখলাম মাএ ৩০০ টাকা
কোনটা সত্য
হা এখন আপনাকে মালদ্বীপ হাইকমিশন থেকে ৪৫ ডলার খরচ করে কার্ড ইসূ করতে হবে। আর নতুন তৈরি করতে গেলে ৩০০ টাকা লাগে।
Company job visa
assa