পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
আমাদের বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ পর্তুগাল থাকে। যারা নতুন করে পর্তুগাল যেতে যাচ্ছেন তারা জানতে চেয়েছেন পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক ইউরোপের দেশ গুলোতে যেতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে অন্যতম কানাডা, আমেরিকা, ইতালি, পর্তুগাল ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন বেশি ভালো নয় বলে সবাই কাজের উদ্দেশ্য বিদেশে পাড়ি জমাই। তাই আপনি যদি ইউরোপের দেশ পর্তুগাল যেতে চান তাহলে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ আরো বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানুন।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে সেটা পরিমান কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারবে না। কারণ, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার পর্তুগাল ভিসার উপর।
আপনি কি ক্যাটাগরির ভিসায় পর্তুগাল যেতে যাচ্ছেন এবং ভিসার মেয়াদ কতদিন সেটার উপর নির্ভর করবে আপনার পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবে। সাধারণত পর্তুগাল যেতে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগে।
স্টুডেন্ট ভিসা হলে এক রকমের খরচ হবে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলে এক রকমের খরচ, টুরিস্ট ভিসা হলে এক রকমের খরচ, মেডিকেল ভিসা হলে এক রকমের খরচ হবে।
অর্থ্যাৎ, আপনি যে ক্যাটাগরির ভিসা এবং ভিসা মেয়াদ নিয়ে পর্তুগাল যাবেন ঠিক তেমন টাকা লাগবে। চলুন নিচে থেকে পর্তুগাল ভিসার দাম কত জেনে আসি।
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা : সৌন্দর্যের দিক থেকে ইউরোপের দেশ গুলো অনেক সুন্দর। এর মধ্যে অন্যাতম হলো পর্তুগাল। পর্তুগালে এমন কিছু স্থাপনা রয়েছে যেখানে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি টুরিস্ট ভিসার পর্তুগাল যেতে চান তাহলে ৪ লক্ষ টাকার মতো লাগে।
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা : বাংলাদেশ থেকে যারা স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল যেতে যাচ্ছেন তারা খুব কম খরচে পর্তুগাল যেতে পারবেন। তবে, এর জন্য আপনাকে ভালো স্টুডেন্ট হতে এবং ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো। আর আপনি যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে আরো কম খরচ হবে।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : আমাদের দেশ থেকে অধিঅংশ মানুষ কাজের বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পর্তুগাল যায়। বর্তমানে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম ১০ লক্ষ টাকা।
পর্তুগাল মেডিকেল ভিসা : চিকিৎসার দিক থেকে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল অনেক উন্নত। বাংলাদেশ থেকে যারা চিকিৎসার জন্য পর্তুগাল যেতে যাচ্ছেন তাদের খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা।
পর্তুগাল বেতন কত টাকা
পর্তুগাল বেতন সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে। তবে, ইউরোপের দেশ হিসেবে পর্তুগাল শ্রমিকদের কাজের বেশ মূল্যয়ন করে।
পর্তুগালে একজন শ্রমিকের মাসিক সর্বনিন্ম বেতন ৭০৫ ইউরো। অর্থ্যাৎ, পর্তুগাল বেতন বাংলাদেশ টাকায় সর্বনিন্ম ৭০,০০০ টাকার বেশি।
পর্তুগাল একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ৯০০ ইউরো করা হবে।
অর্থ্যাৎ, ২০২৬ সালে বাংলাদেশী টাকায় পর্তুগালের একজন সাধারণ শ্রমিক বেতন পাবেন ৯০,০০০ টাকার বেশি। তাছাড়া আপনার কাজের দক্ষতা থাকলে বেতন আরো বৃদ্ধি পাবে।
পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি
পর্তুগাল সহ গোটা ইউরোপে বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের বেশ কিছু কাজের চাহিদা দেখতে পাওয়া যায়।
পর্তুগাল সরকার প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক আমদানি করেন। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজের নিয়োগ প্রদান করেন।
তবে, পর্তুগালে সব থেকে চাহিদা বেশি কাজ হলো রেস্টুরেন্ট ও হোটেল এর কাজ, নির্মাণ শ্রমিক, ক্লিনার কাজ, কেয়ারিং বয়, কম্পিউটার অপারেটর ইত্যাদি।
পর্তুগাল টাকার মান কত
পর্তুগাল টাকার নাম ইউরো। পর্তুগালের ১ ইউরো সমান বাংলাদেশের ১০৮ টাকা। তাহলে পর্তুগাল টাকার মান বাংলাদেশে ১০৮ টাকার মতো। এই টাকার মান প্রত্যেক দিন কম বেশি হয়ে থাকে।
পর্তুগাল দেশ কেমন
আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে যাচ্ছে তাদের অবশ্যই পর্তুগাল দেশ কেমন এবং সেখানকার বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে হবে।
পর্তুগাল হলো ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণে আটলান্টিক মহাসাগরের পাশে অবস্থিত। ইউরোপের সুন্দর দেশ গুলোর মধ্যে পর্তুগাল একটি।
প্রকৃতিক সৌন্দর্যদের জন্য পর্তুগালে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ ভ্রমণ করতে আসে। একারণে এখানকার অন্যতম একটি ব্যবসা হলো হোটেল ও রেস্টুরেন্টে।
পর্তুগালের অধিঅংশ মানুষ পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলে। তবে, সেখানে ইংরেজি ভাষার বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পর্তুগাল ভিসার আবেদন করার নিয়ম
পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসার প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কোনে এজেন্সি কোম্পানির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেন তাহলে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।
আর যদি আপনার কোনে আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করেন তাহলে অনেক কম খরচে আপনি ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে, আমার পরামর্শ হলো পর্তুগাল যাওয়ার জন্য কোনো এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন না করে সরাসরি বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্ররলায় থেকে আবেদন করুন।
পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন ক্যাটগরিতে ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে, যে ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেই কাজে আপনার দক্ষতা থাকলে সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য আপনি এই ওয়েবসাইট lisbon.mofa.gov.bd থেকে আবেদন করতে পারবেন এবং আরো বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।
আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম
- রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করার নিয়ম
- রোমানিয়া বেতন কেমন
- সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা, বেতন কত এবং এজেন্টদের লিস্ট
- সৌদি ভিসা চেক
- মালয়েশিয়া ভিসা চেক
- ওমান ভিসা চেক
- ইতালি ভিসা চেক
- ইন্ডিয়ান ভিসা চেক
- কাতার ভিসা চেক
- দুবাই ভিসা চেক
- সিঙ্গাপুর ভিসা চেক
- কুয়েত ভিসা চেক
শেষ কথা
আজকে আমরা জানলাম বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে সহ আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে। এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।
FAQ
পর্তুগাল কাজের জন্য যেতে কত টাকা লাগে?
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল কাজের ভিসায় যেতে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগে।
আপনার পোষ্ট অসাধারন হয়েছে,আমার পর্তুগাল যাওয়ার ইচ্ছাও আছে কিন্তু কার উপর নির্ভর করে টাকা ডালবো এটাই হচ্ছে মনের ভয়,কারন আমাদের দেশে কে মরলো আর কে বাছলো দেখেনা নিজে বাছে বলে বাপের নাম
বিশ্বাস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন
শুনেছি,পুর্তগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নাকি দেড় বছরের জন্য বন্ধ? প্রকৃত বিযয়টি জানালে উপকৃত হবো।
পরবর্তী আপডেটে জানাবো, আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ