সৌদি ভিসা কত প্রকার জানুন
বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকে জানতে চেয়েছেন সৌদি ভিসা কত প্রকার ও কি কি? অর্থাৎ সৌদি কি কি ক্যাটাগরি ভিসায় যেতে পারবেন।
আপনারা যারা নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশ করবেন তখন অবশ্যই আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে। আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশে যাওয়ার অনুমতি পত্রকে ভিসা বলে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি ভিসা কত প্রকার ও কি কি সেই সম্পর্কে।
সৌদি ভিসা কত প্রকার ও কি কি (Types of saudi visa)
সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি ভিসা ৬ প্রকার। এই ৬ প্রকার ভিসা গুলো হলো:
- সৌদি হজ্জ ভিসা
- সৌদি কাজের ভিসা
- সৌদি ফ্যামিলি ভিসা
- সৌদি শিক্ষা ভিসা
- সৌদি ব্যবসা ভিসা
- সৌদি ট্যুরিস্ট ভিসা
এই ৬ প্রকার ভিসা গুলোর মাধ্যমে একজন বাংলাদেশী নাগরিক সৌদি আরব যেতে পারবেন। চলুন নিচে থেকে সৌদি আরবের ৬ প্রকার ভিসা গুলোর সম্পর্কে জেনে আসি।
সৌদি আরব হজ্জ ভিসা
একজন বাংলাদেশী নাগরিক যদি সৌদি আরবে হজ্জ করার উদ্দেশ্য যেতে চান তাহলে হজ্জ ভিসা আবেদন করে সৌদি আরবের সরকার কর্তৃক হজ্জ ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। হজ্জ ভিসায় আপনি সৌদি আরব গিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয়স্থান গুলো ঘুরে দেখাতে পারবেন।
সৌদি আরব কাজের ভিসা
প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। আপনি যদি সৌদি আরবে কাজ বা জব করার জন্য যেতে চান তাহলে সৌদি কাজের ভিসা আবেদন করতে হবে।
সৌদি আরব ফ্যামিলি ভিসা
অনেক বাংলাদেশী আছেন যারা পুরো ফ্যামিলি নিয়ে ভ্রমন করার জন্য সৌদি আরব যায়। যারা পুরো ফ্যামিলি নিয়ে ভ্রমনের জন্য সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের সৌদি ফ্যামিলি ভিসা আবেদন করতে হবে। মনে রাখবেন সৌদি ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ মাস।
সৌদি আরব শিক্ষা ভিসা
সৌদি আরব আরবি শিক্ষার দিক থেকে অনেক উন্নত রাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণপত্র বা ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ পেয়ে কম খরচে সৌদি আরব পড়াশোনা করতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসায় সৌদি যাওয়ার পরে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোনো কাজ বা জব করার সুযোগ সুবিধা পাবেন না।
সৌদি আরব ব্যবসা ভিসা
আমাদের দেশের অনেক বাংলাদেশী নাগরিক আছেন যারা সৌদি আরবে ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করতে চান। যারা সৌদিতে বিজনেস করতে চান তাদের ব্যবসা বা বিজনেস ভিসা আবেদন করতে হবে।
সৌদি আরব ট্যুরিস্ট
আপনারা যারা সৌদি আরব ভ্রমন করতে চান তারা সৌদি ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করে সৌদি ট্যুরিস্ট সংগ্রহ করুন। সৌদি আরবের ট্যুরিস্ট ভিসায় আপনি সৌদি আরবের সব স্থানে ভ্রমন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অমুসলিম হন তাহলে ট্যুরিস্ট ভিসায় মক্কা ও মদিনা শহরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
সৌদি ভিসা পেতে কত বছর বয়স লাগে
সৌদি ভিসা পেতে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ সৌদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত করা হয়ে ২১ বছরের নিচে কোনো দেশের নাগরিককে ভিসা প্রদান করা হবে না।
পাসপোর্টের বয়স হিসাবে আপনার বয়স ২১ বছরের বেশি হলে সৌদি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২১ বছরের কম হলে সৌদি ভিসার আবেদন গ্রহনযোগ্য হবে না।
সৌদি আরব ভিসা দাম কত
সৌদি আরবের অফিস থেকে ভিসা তুলতে খরচ হয় ২০০০ রিয়াল। বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ৫৬ হাজার টাকা। এই ভিসা প্রবাসীদের যার কাছ থেকে যত টাকা বিক্রি করতে পারবে।
তাই আপনি সৌদি ভিসার নির্ধারিত মূল্য সঠিক ভাবে বলতে পারবেন। মনে রাখবেন সৌদি আরবের অফিস থেকে ভিসা তুলতে ২০০০ রিয়াল থেকে ৩০০০ রিয়াল পর্যন্ত খরচ হয়।
শেষ কথা
আজকে আমরা জানলাম সৌদি ভিসা কত প্রকার ও কি কি, সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে এবং সৌদি আরব ভিসার দাম কত টাকা সেই সম্পর্কে। এই বিষয় কোনো প্রশ্ন জানার থাকলে কমেন্টে লিখে জানাবেন।
সৌদি ভিসা FAQ
সৌদি ভিসা কত ধরনের ও কি কি?
সাধারণত সৌদি ভিসা ৬ ধরনের এবং ভিসা গুলো হলো হজ্জ ভিসা, কাজের ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা এবং বিজনেস ভিসা।
সৌদি ভিসা কি?
সৌদি ভিসা হলো সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সৌদি সরকার কর্তৃক অনুমতি পত্র। এই অনুমতি পত্রকে সৌদি ভিসা বলা হয়।